রাবিয়া আক্তারের এক গুচ্ছ " ছড়া-কবিতা" আল আমিন জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা , সুলতানপু।
আল আমিন জামেয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসা - সুলতানপু, মানিককোনা, ফেঞ্চুগঞ্জ, সিলেট এর নবম শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী রাবিয়া আক্তারের এক গুচ্ছ " ছড়া-কবিতা"। 
(১)
"স্বপ্ন ভরা আঁখি"
হাজার চাকের মৌমাছি আমি
গুনগুনিয়ে ডাকি,
বাংলা মায়ের মুখখানা
মুক্ত মনে আঁকি।
গুনগুনিয়ে ডাকি,
বাংলা মায়ের মুখখানা
মুক্ত মনে আঁকি।
চাঁদনী রাতের জোছনা আমি
হাজার তারার আলো,
দূর করে দেই যতসব
আধার গহিন কালো।
হাজার তারার আলো,
দূর করে দেই যতসব
আধার গহিন কালো।
নিশি রাতে বাঁশ বাগানে
ঝিঝি পোকার সাজে,
রাণী হয়ে হয়ে থাকি আমি
সেই পোকাদের মাঝে।
ঝিঝি পোকার সাজে,
রাণী হয়ে হয়ে থাকি আমি
সেই পোকাদের মাঝে।
হাজার ভোরের সূর্য আমি
ভোরের দোয়েল পাখি,
আমি জাগলে যায় খুলে যায়
ঘুমিয়ে থাকা আঁখি।
ভোরের দোয়েল পাখি,
আমি জাগলে যায় খুলে যায়
ঘুমিয়ে থাকা আঁখি।
হাজার নদীর স্রোত আমি
রূপসী জলপরী,
রোজ দুপুরে বৈঠা হাতে
নৌকা করে চড়ি।
রূপসী জলপরী,
রোজ দুপুরে বৈঠা হাতে
নৌকা করে চড়ি।
আমি হলাম ভরদুপুরের
ক্লান্ত এক চাষি,
সুখের দিন এলে তাই
হাওয়ায় করে ভাসি।
ক্লান্ত এক চাষি,
সুখের দিন এলে তাই
হাওয়ায় করে ভাসি।
আমি হলাম সুন্দর বনের
হাজার স্বর্ন লতা,
আমায় ছাড়া পশুপাখি
কয়না যে আর কথা।
হাজার স্বর্ন লতা,
আমায় ছাড়া পশুপাখি
কয়না যে আর কথা।
আমি হলাম অজানা
দূরন্ত এক বেলা
লক্ষ্য আমার সব পেরিয়ে
সামনে এগিয়ে চলা।
দূরন্ত এক বেলা
লক্ষ্য আমার সব পেরিয়ে
সামনে এগিয়ে চলা।
আমি হলাম নিত্য দিনের
নতুন স্বপ্ন পাখি,
আমার দিকে তাকিয়ে আছে
বিশ্ব জুড়া আঁখি।
নতুন স্বপ্ন পাখি,
আমার দিকে তাকিয়ে আছে
বিশ্ব জুড়া আঁখি।
"সূয্যিমামা"
ডুবু ডুবু সূর্য
বিকেল বেলায়,
নিভু নিভু আলো নিয়ে
শুধায় আমায়।
চলে যাই আজ ভাই
কাল দেখা হবে,
ফজরের নামাজ শেষে
ফিরবে যবে।
(৩)
বিকেল বেলায়,
নিভু নিভু আলো নিয়ে
শুধায় আমায়।
চলে যাই আজ ভাই
কাল দেখা হবে,
ফজরের নামাজ শেষে
ফিরবে যবে।
(৩)
"শুকতারা"
সারাদিনের রুদ্র দেখে
ক্লান্ত যখন আঁখি,
এমন সময় ঐ আকাশে
চোখ মেলে দেখি।
ক্লান্ত যখন আঁখি,
এমন সময় ঐ আকাশে
চোখ মেলে দেখি।
ঝিকিমিকি করে একা
সব তারা বাকি,
ঐ সময় তার নাম
সন্ধ্যা তারা নাকি ?
সব তারা বাকি,
ঐ সময় তার নাম
সন্ধ্যা তারা নাকি ?
আবার যখন জেগে উঠি
নিঝুম রাতের বেলায়,
ঝিকিমিকি মুখে সে
আহুতি জানায়।
নিঝুম রাতের বেলায়,
ঝিকিমিকি মুখে সে
আহুতি জানায়।
"বিড়াল ছানা"
বিড়াল ছানা, বিড়াল ছানা
একটু দাঁড়াও দেখি,
রান্না ঘরে খাবার ছিলো
খেয়ে নিলে না কি?
একটু দাঁড়াও দেখি,
রান্না ঘরে খাবার ছিলো
খেয়ে নিলে না কি?
মা যে আমায় রেখেছিলো
পাহারাদার করে,
আনমনে ছিলাম আমি
তোমায় দেখে দেখে।
পাহারাদার করে,
আনমনে ছিলাম আমি
তোমায় দেখে দেখে।
নাদুস নুদুস চেহারা দেখে
তোমায় ভেবেছিলাম বোকা,
অবশেষে চালাকি করে
আমায় দিলে ধোকা।
তোমায় ভেবেছিলাম বোকা,
অবশেষে চালাকি করে
আমায় দিলে ধোকা।
রান্নাঘরে ঢুকে গেলে
আমায় দিয়ে ফাকি,
তুমিই তো সব খেয়ে নিলে
রইলো না আর বাকি।
আমায় দিয়ে ফাকি,
তুমিই তো সব খেয়ে নিলে
রইলো না আর বাকি।
No comments